অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে আমেরিকার পতন শুরু হয়ে গেছে। আমেরিকার অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নৈতিক ক্ষেত্রে নজিরবিহীন সমস্যা থেকে শুরু করে সেদেশে রক্তক্ষয়ী বিভক্তি ও মতবিরোধের ঘটনাগুলোতে এই পতনের লক্ষণগুলো স্পষ্ট।
আগামী ৪ নভেম্বর জাতীয় ছাত্র দিবস এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবসকে সামনে রেখে আজ (মঙ্গলবার) ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে স্কুল-কলেজের একদল ছাত্র-ছাত্রী দেখা করেছেন। এসব ছাত্র-ছাত্রীর উদ্দেশে সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমেরিকা হিসাব-নিকাশে ভুল করেছে। এই ভুলের একটি প্রমাণ হলো ২০ বছর আফগানিস্তানে আমেরিকার হামলা। তারা তালেবানকে নির্মূল করতে সেখানে হামলা করেছিল। সেখানে তারা ব্যাপক অপরাধ সংঘটিত করেছে ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। কিন্তু ২০ বছর পর সেই আফগানিস্তান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে আমেরিকা এবং আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ইরাকে মার্কিন হামলা এবং লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতাকে আমেরিকার হিসাব-নিকাশে ভুলের আরেকটি প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমেরিকা প্রথম থেকেই ইরাকে নিজেদের লোক নিয়োগের চেষ্টা করেছে। ইরাকে নির্বাচনের মাধ্যমে ইরাকি রাজনীতিবিদরা শীর্ষ পদে আরোহণ করবে এটা আমেরিকা কখনোই চায়নি। তারা সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গত কয়েক সপ্তাহের বিশৃঙ্খলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা সম্পর্কে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে শত্রুরা তেহরান এবং ছোট-বড় শহরগুলোতে বিশৃঙ্খলা ছড়াতে আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল।
ইরানের শিরাজ শহরে হজরত আহমাদ বিন মূসা (আ.)’র পবিত্র মাজারে সন্ত্রাসী হামলাকে মহা অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে এবং এই অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত বলে প্রমাণিত হবে নিশ্চিতভাবে তারা শাস্তি পাবে। শিরাজে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে মানবাধিকারের মিথ্যা দাবিদারদের নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা শিরাজের ঘটনার কেন নিন্দা জানায়নি? তারা কেন একটি অসত্য ঘটনাকে হাজার হাজার বার ইন্টারনেটে তুলে ধরে অপপ্রচার চালাচ্ছে
Leave a Reply